সাতক্ষীরার শ্যামনগরে র্যাব সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
শুক্রবার ওই হামলার ঘটনায় খুলনা র্যাব-৬-এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের উপপরিদর্শক এলাহি মিয়া রোববার শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন। এতে র্যাব সদস্যদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযাগে শেখ আল মামুনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইউনুছ আলী, একই উপজেলার রমজাননগর গ্রামের মজিবুল ইসলাম, একই গ্রামের হযরত আলী, ফজের আলী, শেখ আলমগীর হোসেন ও শিবচন্দ্রপুর গ্রামের প্রদীপ বর্মণ।
এজাহারে বলা হয়েছে, রমজাননগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিন রাস্তার মোড়ে মাদক কেনাবেচার তথ্য পেয়ে শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বাদি এলাহী মিয়াসহ র্যাব সদস্যরা সেখানে যান। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা তখন পালিয়ে যান।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পরপরই র্যাব সদস্য ও তাদের সোর্সদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চাবি কেড়ে নেন আসামিরা।
র্যাব পরিচয় জানতে পেরে ওই সময় আল মামুনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধরও করে।
এ ছাড়া র্যাব সদস্যদের কাছে থাকা টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় তাদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকার।
হামলায় আহত র্যাব সদস্যদের পরে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুনকে শনিবার আটক করা হয়। তার আইনজীবী সাতক্ষীরা বারের সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ অবশ্য ইউপি চেয়ারম্যান মামুন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমার মক্কেল শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলেন। চোরাকারবারিরা র্যাব সদস্যদের উপর হামলা করেছে এমন তথ্য দিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে থানায় যেতে বলা হয়।’
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, হামলা, র্যাবের উপপরিদর্শক এলাহী মিয়ার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।